top of page
Search

দশম শ্রেণীর সমস্ত বিষয়ের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক চতুর্থ পর্ব

  • Writer: Milu Tution Center
    Milu Tution Center
  • Jul 31, 2021
  • 14 min read


BENGALI


1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :

1.1 তপনের লেখা যে গল্পটি ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—

ক) রাজা ও রানি।

খ) অ্যাকসিডেন্ট

গ) প্রথম দিন

ঘ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা

1.2 পাঠ্য ‘অসুখী একজন’ কবিতাটির অনুবাদক

ক) শঙ্খ ঘোষ

খ) নবারুণ ভট্টাচার্য

খ) উৎপলকুমার বসু

ঘ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

1.3 ‘আফ্রিকা’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে—

ক) মানসী

খ) চিত্রা

গ) পত্রপুট

ঘ) নৈবেদ্য ।

1.4 ‘বাবু কুইল ড্রাইভারস’কথাটি বলতেন—

ক) ওয়াটারম্যান

খ) লর্ড কার্জন

গ) উইলিয়াম জোন্স

ঘ) উইলিয়াম হেস্টিংস

1.5 যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়—

ক) দিন ও রাত্রি

খ) দিনগুলি রাতগুলি

গ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ

ঘ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে

2. কম-বেশি ২০টি শব্দের উত্তর লেখো :

2.1 কোন্ কথাটি শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল?

উঃ- তপন তার বালক বয়সে কোনোদিন কোনো লেখককে স্বচক্ষে দেখেনি। কবি-লেখকরাও যে আমাদের মতো সাধারণ বাস্তব জগতের প্রাণী এ কথাই তপন জানত না। তাই সে যখন শুনল যে,তার সদ্যবিবাহিতা ছোটো মাসির স্বামী অর্থাৎ তার নতুন মেসো একজন লেখক-তখন বিস্ময়ে তার চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গেল।

2.2 ‘অসুখী একজন’ কবিতাটি পাবলো নেরুদার কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উঃ- অসুখী একজন কবিতাটি পাবলো নেরুদার " Extravagaria কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত

2.3 ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক ছেলেবেলায় কার লেখা জ্যামিতি পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন?

উঃ-হারিয়ে যাওয়া কালি কলম প্রবন্ধে, প্রাবন্ধিক " ব্রহ্মমোহন মল্লিক " জ্যামিতির বই পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।

2.4 ‘আফ্রিকা’ কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল?

2.5 ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবি ‘পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ’ বলতে কী নির্দেশ করেছেন?

উঃ- অশুভ ধ্বনিতে দিনের অন্তিম কাল আফ্রিকা কবিতায় ঘোষিত হয়েছিল।

3. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :


3.1 ‘ওর হবে।'—বক্তা কে? কেন তার এমন মনে হয়েছে?

উঃ-আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে, উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা হলেন তপনের ছোট মেসো মশাই। গল্পের প্রধান চরিত্র তপন ছোট বয়স থেকেই সে গল্প লিখতে খুব ভালোবাসে, তপনের বয়সের ছেলেমেয়েরা যেসব গল্প লিখতে পারে, যেমন রাজা রানীর গল্প, খুন-জখমের গল্প প্রভৃতি কিন্তু তখন তাদের ব্যাতিক্রম , তপন লিখে ফেলল তার স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি, লেখক মেসোর এ ব্যাপারটি বড়ই ভালো লাগে, এবং তার পরই তিনি আলচ্য উক্তিটি করে বসেন।

3.2 ‘অসুখী একজন’ কবিতায় কার মাথার উপর বছরগুলি কেন পর পর পাথরের মত নেমে এসেছিল?

উঃ- কবি অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই মেয়েটি মাথায় বছরগুলো পরপর পাথরের মতো নেমে এসেছিল, কারণ কবি তার প্রেমিকাকে জানানি যে তিনি কখনোই আর ফিরে আসবেনা, কিন্তু জীবন তো আর থেমে থাকেনি, বৃষ্টিতে কবির পায়ের দাগ মুছে গেছে, এবং ঘাস জন্মেছে রাস্তায় , এবং আস্তে আস্তে বছরগুলোর পাথরের মত হয়ে নেমে আসছিল।

3.3 ‘আমরা ভিখারি বারোমাস।–“আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কবিতায় কবির এমন মন্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করো।

উঃ-আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি কবিতাটিতে শঙ্খ ঘোষ , আমরা ভিখারি বারো মাস বলতে , কবি মানুষের দৈন্যদশার কথা তুলে ধরেছেন, কবি বোঝাতে চেয়েছেন মানুষ নানা প্রতিকুলতা যুগ যন্ত্রণার ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন। এ মানুষগুলি প্রকৃত ইতিহাস এর প্রতিফলন হয়নি, সেই মানুষগুলি নিশ্রুপ ও বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই কবি আলোচ্য লাইনটিতে অবহেলিত মানুষের কথা তুলে ধরেছেন।

3.4 ‘উদ্ভ্রান্ত আদিম যুগের কথা ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কীভাবে উল্লিখিত হয়েছে?

উঃ- আদিম যুগে মহাবিশ্ব তথা আমাদের পৃথিবী ছিল অশান্ত, ধীরে ধীরে তা শান্ত হয়। সে সময়ে সব কটি মহাদেশ ছিল একই ভূখণ্ডের অন্তর্গত। এরপর বিভিন্ন মহাদেশ তাদের মূল ভূখন্ড থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং সশস্ত্র মহাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এই বার বার রদ বদলে স্রষ্ঠা যখন নিজের সৃষ্টির প্রতি অসন্তোষ , তখন স্রষ্ঠা বারবার তার সৃষ্টি গুলিকে বিধ্বস্ত করছিল।

3.5 ‘আমি যেখানে কাজ করি সেটা লেখালেখির আপিস। সেই আপিসের চিত্র লেখক কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?

উঃ- প্রাবন্ধিক শ্রিপান্ত জানিয়েছেন তিনি লেখালেখির অফিসে কাজ করেন, কিন্তু কারানো হাতে কলম নেই, সকলেই বসে থাকে এক চৈক আয়নার মত কম্পিউটারের দিকে, কিবোর্ড দিয়ে প্রতিটি অক্ষর অনায়াসে লিখে ফেলেন, অফিসে কবি ছাড়া আর কেউই তেমন কলম ব্যবহার করেন না, কবির অফিসের প্রত্যেকেই লেখক কিন্তু তাদের হাতে কলম নেই।

4. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ (কম-বেশি ১৫০ শব্দ) :

উঃ- আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপন তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল । মেসো গল্পটি পড়ে লেখার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছেপে বের হবে- এরকম চমকপ্রদ ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল । তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর, লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ তা সে বিশ্বাস করত না। তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণাটা যায়। তারপর সে নিজেও গল্প লেখার উৎসাহ পায়। তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্পটি পড়ে তপনের মেসো লেখার প্রশংসা করেন এবং নিজের থেকে গল্পটা নিয়ে যান। অবশেষে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় গল্প ছেপে বের হয়। এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।

4.1‘পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ও ঘটে?’—কোন্ ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে? সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল, ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্প অনুসারণে বুঝিয়ে দাও।

উঃ- উঃ আশাপূর্ণা দেবীর লেখা 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপন তার লেখক মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি গল্প লিখেছিল । মেসো গল্পটি পড়ে লেখার প্রশংসা করেন এবং গল্পটি 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে কথা দেন। তপনের লেখা গল্প একটি পত্রিকায় ছেপে বের হবে- এরকম চমকপ্রদ ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল। তপন একজন অল্পবয়স্ক কিশোর, লেখকরা যে সাধারণ পৃথিবীর মানুষ তা সে বিশ্বাস করত না। তার লেখক মেসোকে স্বচক্ষে দেখে তপনের ভ্রান্ত ধারণাটা যায়। তারপর সে নিজেও গল্প লেখার উৎসাহ পায়। তিন তলার সিঁড়ি ঘরে বসে সে একটি আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্পটি পড়ে তপনের মেসো লেখার প্রশংসা করেন এবং নিজের থেকে গল্পটা নিয়ে যান। অবশেষে 'সন্ধ্যাতারা' পত্রিকায় গল্প ছেপে বের হয়। এই ঘটনাটি তপনের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয়।

4.2 ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’ কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত কবিতা? কবিতায় এই আহ্বান ধ্ববিত হয়েছে কেন?

উঃ- আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি- কবিতাটি সমসাময়িক কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি শঙ্খ ঘোষের ‘জলই পাষাণ হয়ে আছে' কাব্যসংকলন থেকে গৃহিত হয়েছে। আলোচ্য কবিতার প্রেক্ষাপটে রয়েছে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অসহায় মানুষের জীবনসংগ্রামের কথা। বিপদ তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তাদের বাঁয়ে গিরিখাত, ডানদিকে ধস, মাথায় বোমারু বিমান এবং পথ চলতে বাধার সৃষ্টি করে হিমানীর বাঁধ। এহেন বিপর্যয়ের বেঁচে আছে না মরে গেছে। এইরকম বিপদসংকুল পরিস্থিতিতে যা করা উচিত, এরাও তাই করেছে। যে'কজন বেঁচে আছে তারা দিনে কারো মাথা গোঁজার জায়গা নেই কারণ যুদ্ধের ফলে তাদের ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুদের শব দেখে তারা ভাবে যে হয়তো তারাও এবার মরে যাবে। বাঁচার শেষ ইচ্ছেটুকু নিয়ে অসহায় মানুষজন একে অপরের হাত ধরে। বিশেষ-পরিচিতিহীন এইসব মানুষ ইতিহাসে ব্রাত্য। এদের কথা ভাবার মতো কেউ নেই। আবার, চারিদিকে মৃত্যুর ছায়া দেখে এরা বুঝে উঠতে পারে না যে পৃথিবী আদৌ যা করা উচিত, এরাও তাই করেছে। যে'কজন বেঁচে আছে তারা একে অপরের হাত ধরে, সঙ্ঘবদ্ধভাবে বাঁচার শপথ নেয়। জীবন যখন সংকটাপন্ন তখন ঐক্যবদ্ধভাবে বেঁচে থাকাই জীবনের একমাত্র মন্ত্র হয়ে দাঁড়ায়। আলোচ্য কবিতাতেও দু'বার সেই কথার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে- আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি'। অতএব, বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই কবিতার নামকরণ সার্থকহয়েছে, একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

4.3 দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল, তা ‘আফ্রিকা’ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো।

উঃ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা আফ্রিকা কবিতার যে তথাকথিত সভ্য ইউরোপীয় দেশগুলো আফ্রিকাকে জাতির উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেছিল তার উদ্দেশ্যে আলোচ্য লাইনটি। আদিম আফ্রিকার ইতিহাসকে অপমানিত বলা হয়েছে। চিরচিহ্ন'-এর ঘটনা: সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয় শক্তির আফ্রিকার মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল। ক্ষমতালোভী দল নির্মম অত্যাচার চালাত আফ্রিকার আদিম মানুষদের ওপর। সেইসব তথাকথিত সভ্য মানুষদের বর্বরতা আর অমানুষিক অত্যাচারে ক্ষতবিক্ষত হল আফ্রিকার মানুষ। তাদের রক্ত আর চোখের জলে কর্দমাক্ত হল আফ্রিকার মাটি। সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাটা-মারা জুততার নীচে সেই বীভৎস কাদার পিণ্ড চিরচিহ্নরূপে কালোছাপ ফেলে রাখল আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে।

4.4 ‘জন্ম নিল ফাউন্টেন পেন।”—‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’রচনা অবলম্বনে ফাউন্টেন পেনের জন্মবৃত্তান্ত আলোচনা করো।

উঃ- ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম; ফাউন্টেন পেনের বাংলা নাম ঝরনা কলম।

বাংলা নামকরণ: শ্রীপান্থ রচিত ‘হারিয়ে যাওয়া কালি কলম’ নামটি সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দেওয়া বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জন্ম-ইতিহাস:- পণ্ডিতদের মতে, কলমের দুনিয়ায় সত্যিকারের বিপ্লব ঘটিয়েছে ফাউন্টেন পেন। কিন্তু এর জন্ম-ইতিহাসটি বেশ চমকপ্রদ।আবিস্কারক লুইস অ্যাডসন ওয়াটারম্যান। তিনি এই নতুন ধরনের কলম তৈরি করে অফুরন্ত কালির ফোয়ারা খুলে দিয়েছিলেন।

চুক্তিপত্র সই: সেকালের আরও অনেক ব্যবসায়ীর মতো তিনিও দোয়াত কলম নিয়ে কাজে বের হতেন। একবার তিনি গিয়েছেন আর-একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে চুক্তিপত্র সই করতে। দলিল কিছুটা লেখা হয়েছে এমন সময় দোয়াত হঠাৎ উপুড় কাগজে পড়ে গেল। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি ছুটলেন কালির সন্ধানে। ফিরে এসে শোনেন, ইতিমধ্যে অন্য একজন তৎপর ব্যবসায়ী সইসাবুদ শেষ করে চুক্তিপত্র পাকা করে গেছেন।

প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া:- এই ঘটনায় বিমর্ষ ওয়াটারম্যান মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, এর একটা বিহিত করতেই হবে। অর্থাৎ এমন একটা পদ্ধতির খোঁজ করতে হবে যেখানে কলমের সঙ্গে কালির দোয়াত নিয়ে ঘুরতে হবে না। তারপরই আবিষ্কার করলেন ফাউন্টেন পেন।

নবযুগেরপ্রতিষ্ঠা: দোয়াতের যুগের অবসান ঘটিয়ে কালক্রমে এই ফাউন্টেন পেন লেখালেখির নবযুগের প্রতিষ্ঠা ঘটাল।

4.5 ‘তারপর যুদ্ধ এল– কীসের মতো যুদ্ধ এল ? তার কী পরিণতি ঘটল?

উঃ- তারপর কথাটির অর্থ পাবলো নেরুদার 'অসুখী একজন কবিতায় কবি বিপ্লবের আহ্বানে ঘর ছেড়েছিলেন। কবির প্রিয়তমা অপেক্ষা করেছিলেন যে, একদিন কবি ফিরে আসবেন। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় না। বৃষ্টির জলে একসময় ধুয়ে যায় কবির পায়ের ছাপ। রাস্তা ঢেকে যায় ঘাসে। বছরের পর বছর এভাবে কেটে যাওয়ার পরে একসময় যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর' কথাটির দ্বারা এই যুদ্ধ শুরুরসময়টিকেই বোঝানো হয়েছে।

যুদ্ধের প্রভাব: যখন যুদ্ধ শুরু হয় সে যুদ্ধ আসে রক্তের এক আগ্নেয়পাহাড়ের মতো। শিশুরাও সে হত্যালীলা থেকে রেহাই পায় না, মানুষের বসতি ধ্বংস হয়। আগুন লেগে যায় সমতলে। যেসব দেবতারা মন্দিরে ধ্যানমগ্ন ছিল হাজার বছর ধরে, তারা উলটে গিয়ে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। অর্থাৎ ধ্বংস আর বিশ্বাসের ফাটল ঘটে একইসঙ্গে। কবির ফেলে আসা প্রিয় বাড়ি বারান্দা, গোলাপি গাছ, চিমনি, প্রাচীন জলতরঙ্গ ইত্যাদি যাবতীয় স্মৃতিই যুদ্ধের তাণ্ডবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। শহর রূপান্তরিত হয় ধ্বংসস্তুপে। কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা যেন ধংসের প্রতীক হয়ে উকি দেয়। আর রক্তের কালো দাগ হল সেই হত্যালীলা ও ধসেস্তুপের প্রমাণস্বরূপ। এভাবেই যুদ্ধ আসে সর্বগ্রাসী চরিত্র নিয়ে।

5. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :

5.1 অনুসর্গ হলো একপ্রকার—

(ক) বিশেষ্য পদ

(খ) বিশেষণ পদ

(গ) সর্বনাম পদ

(ঘ) অব্যয় পদ

5.2 ‘বিভক্ত কখনোই লুপ্ত হয় না—

(ক) কর্মকারকে

(খ) করণ কারকে

(গ) সম্বন্ধ পদে

(ঘ) কর্তৃকারকে

5.3 নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো—

(ক) হইতে

(খ) কর্তৃক

(গ) জন্য

(ঘ) গুলি

6. বঙ্গানুবাদ করো :

Home is the first School where the Child learns his first lesson. He sees, hears and begins to learn at home. It is home that builds his Character. In a good home honest and healthy men are made.

উঃ- গৃহ হলো ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম বিদ্যালয় , যেখানে শিশুরা তাদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে। শিশু দেখে , শুনে এবং সেখানেই তাঁর প্রথম শিক্ষা শুরু করে। গৃহ হল এমন এক স্থান যেখানে শিশুদের চরিত্র গঠন হয়। উন্নতমানের পরিবার সৎ এবং সুস্থ মানুষ তৈরি করে।


দশম শ্রেনী

ENGLISH // ইংরেজী

SECTION A


CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK ENGLISH PART 3


Read the poem given bellow and answer the questions that follow:

The mountain and the squirrel

Had a quarrel:

And the former called the later ' Little Prig.'

Bun replied,

'You are doubtless very big;

But all sorts of things and weather

Must be taken in togather,

To make up a year

And a sphere.

And I think it no disgrace

To occupy my place.

If I'm not so large as you

You are not so small as I,

And not half so spry.

I'll not deny you make

A very pretty squirrel track;

Talents differ; all is well and wisely put;

If I cannot carry forests on my back

Neither can you crack a nut.'

ACTIVITY 1

Comple the following Table

SL NO Name Can Do Cannot Do

1 Mountain can carry forests on his back cannot crack a nut

2 Squirrel can crack a nut cannot carry forests on his back

ACTIVITY 2

Do as directed:

(i) The teacher said to the students, "You will read the story tomorrow." (Change the mode of Narration)

Ans:- The teacher told the students that they would read the story the next day.

(ii) I know her. She is honest. (Join into a complex sentence)

Ans:- I know that she is honest.

(iii) The bag is too heavy to carry. ( Rewrite the sentence using 'so .....that' )

Ans:- The bag is so heavy that one cannot carry it.

ACTIVITY 3


Garbage has been littered in your locality causing filthy, unhygienic environment. Write a letter (in about 100 words) to the head of the civic authority of your locality to clean garbage regularly.

Ans:-

From,

Sk.Fayaz,

M.H.R. High School,

Rajarhat, Kolkata

11.07.2021


To,

The Chairman,

Kolkata Municipal Corporation,

Kolkata.


Respected Sir,

[Sub: Complaint regarding non-cleaning of garbage regularly]

I would like to draw your kind attention to the unclean and untidy condition of garbage of our locality. The garbage littered cause stinking and foul smell. The heaps of garbage are health hazard to the children of our locality. Mosquitoes, flies and other disease have increased.There is lack of dustbins and the sanitary staff or sweepers don't clean garbage regularly. The negligence of their duty is a threat to the socity.

I therefore, request you to kindly look into this matter and solve this problem for the better future of the socity.


Thanking you,

Yours faithfully,


Sk.Fayaz ,


মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

দশম শ্রেনী

LIFE SCIENCE // জীবন বিজ্ঞান

নতুন জুলাই মাসের পার্ট -৪

CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK LIFE SCIENCE NEW PART 4 JULY -2021(NEW)


প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখো :

1.1 উদ্ভিদের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় যে হরমোন সেটি নির্বাচন করো -

(ক) অক্সিন

(খ) জিব্বেরেলিন

(গ) সাইটোকাইনিন

(ঘ) NAA

উঃ- (খ) জিব্বেরেলিন

1.2 নীচের বক্তব্যগুলি থেকে মায়োপিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাটি চিহ্নিত করো -

(ক) চোখের লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়া -

(খ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হওয়া

(গ) চোখের লেন্সের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়ে যাওয়া

(ঘ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পেছনে গঠিত হওয়া

উঃ- (খ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হওয়া

1.3 নীচের যে জোড়টি সঠিক তা স্থির করো -

(ক) STH - থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা

(খ) ACTH - স্ত্রীদেহে ডিম্বাশয়ে গ্রাফিয়ান ফলিকলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করা

(গ) FSH - রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা

(ঘ) ADH - বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ ঘটানো

উঃ- (ঘ) ADH - বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ ঘটানো

2 নীচের বাক্যগুলির শুন্যস্থান গুলিতে উপযুক্ত শব্দ বসাও :

2.1 ডাবের জলে _______ হরমোন থাকে |

উঃ- সাইটোকাইনিন

2.2 পায়রার একটি ডানায় _____ টি রেমিজেস নামক পালক থাকে |

উঃ- 23 টি

2.3 RNA তে থাইমিনের পরিবর্তে _______ থাকে |

উঃ-: ইউরাসিল

3. দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

3.1 নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির পার্থক্য নিরূপণ করো -

• নালির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি

• ক্ষরিত পদার্থ

অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির পার্থক্য

বৈশিষ্ট্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বহিঃক্ষরা গ্রন্থি

নালির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি নালিবিহীন অর্থাৎ অনাল প্রকৃতির গ্রন্থি | নালিযুক্ত অর্থাৎ সনাল প্রকৃতির গ্রন্থি |

ক্ষরিত পদার্থ অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে প্রধানত হরমোন ক্ষরিত হয় | বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক, লালারস, ঘাম প্রভৃতি ক্ষরিত হয় |

3.2 মাইটোসিসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দশায় নিউক্লিয়াসের কী কী পরিবর্তন ঘটে তা বর্ণনা করো |

উত্তর: মাইটোসিসের দীর্ঘস্থায়ী দশায় নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন:

মাইটোসিসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দশা হলো প্রোফেজ দশা | এই প্রোফেজ দশায় নিউক্লিয়াসের যে পরিবর্তন ঘটে তা নীচে বর্ণনা করা হলো :

1. নিউক্লিয়াস থেকে জলের বিয়োজন ঘটে | ফলে ক্রোমাটিন জালিকার ক্রোমাটিন তন্তুগুলি ক্রমশ সুস্পষ্ট হয় |

2. ক্রোমাটিন জালিকা ঘনীভূত ও কুন্ডলীকৃত হয়ে সুত্রাকার ক্রোমোজোম গঠনকরে |

3. প্রত্যেকটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বি ভাগ হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে |

4. নিউক্লীয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস প্রথমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডে ভেঙে যায় ও প্রোফেজ দশার শেষে অবলুপ্ত হয় |

4. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :

4.2 প্রাণীকোশের মাইটোসিস কোশ বিভাজনের মেটাফেজ দশার পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলো চিহ্নিত করো :

(ক) ক্রোমাটিড (খ) মেরু অঞ্চল (গ) সেন্ট্রোমিয়ার (ঘ) বেমতন্তু

মেটাফেজ দশা



দশম শ্রেনী

GEOGRAPHY // ভূগোল

নতুন জুলাই মাসের পার্ট -৪


1. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :

1.1 অবরোহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হল -

উ:-গ) গিরিখাত

1.2 হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাঁক হল -

উ:-খ) বার্গস্রূন্ড

1.3 ঠিক জোড়টি নির্বাচন কারো -

উ:-খ) পুদুচেরী - কেদ্রশাসিত অঞ্চল।

2. শূন্যস্থান পূরণ করো :

2.1 বায়ুর প্রক্রিয়া বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয় ।

উ:-বহন

2.2 উপত্যকা পীরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত ।

উ:-ভূস্বর্গ কাশ্মীর

2.3 মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয় ।

উ:-উত্তর-পূর্ব |

3. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও:

3.1 পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশ সৃষ্টি হয় ?

উ:- পর্বতের পাদদেশ ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যায় বলে নদীর গতিবেগ এবং বহনক্ষমতা উভয়ই হ্রাস পায় | এর ফলে নদীবাহিত নুড়ি, পাথর, কাঁকর, বালি, পলি সব শঙ্কুর আকারে পাদদেশে সঞ্চিত হতে থাকে । একেই পলল শঙ্কু বলা হয়ে থাকে । পরবর্তী সময়ে পলল শঙ্কু উপর দিয়ে বিভিন্ন খাতে প্রবাহিত হলে তা অর্ধগোলাকার আকৃতিতে ভাগ হয়ে পড়ে। হাতপাখার মতো দেখতে প্রায় গোলাকার পলল ব্যজনী তৈরি হয় ।

সুতরাং, বলা যেতে পারে পর্বতের পাদদেশে নদীর গতিবেগের হঠাৎ হ্রাসের ফলেই পলল ব্যজনী পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয় |


3.2 ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে গ্রাবরেখার কীভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব ?

উত্তরঃ যে সকল ঢালু অঞ্চলে মাটি ক্ষয় বেশি সেখানে ঢালের আড়াআড়ি দিকে চওড়া ফিতের মতো জমি তৈরি করে ক্ষয়ে রোধকারী শস্য যেমন- সিম, ডাল, সয়াবীন চাষ করা হয়। এতে মাটির ক্ষয়রোধ হয় এবং মাটির জলধারণ ক্ষমতাও বাড়ে। একই রকম ভাবে পাহাড় ও পর্বতের ঢালু অংশে ধাপ কেটে এক-একটি সমতল ভূমি তৈরি করে চাষের জমি তৈরি করা হয়। এতে মৃত্তিকা ক্ষয় ভীষণভাবে কমানো যায়। আবার, সমোন্নতিরেখা বরাবর বাঁধ দিয়ে জলের গতিকে বাধা দিয়ে আটকে দিলে একদিকে যেমন- মৃত্তিকা-ক্ষয়রোধ হয়, অন্যদিকে ওই জল মাটিতে শোষিত হয় এবং গাছ তাঁর প্রয়োজন মতো জল পায় ।

4. হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।

উত্তরঃ হিমবাহ ক্ষয় কাজের সকল পদার্থ সৃষ্টি করে সেগুলি পর্বত ও পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়। হিমবাহ নিজে এবং জলধারার সাথে মিলিতভাবে কাজ করে পদার্থের সঞ্চয় ঘটায় ।

হিমবাহের সঞ্চয় কাজে সৃষ্ট ভূমিরূপঃ

গ্রাবরেখাঃ হিমবাহ ক্ষয়জাত পদার্থগুলিকে হিমবাহের সাথে বাহিত হয়ে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত। এরূপ সঞ্চয়কে গ্রাবরেখা বলে। অবস্থানের ভিত্তিতে গ্রাবরেখা বিভিন্ন প্রকার-

 পার্শ্ব গ্রাবরেখাঃ হিমবাহ পদার্থকে ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই পাশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল পার্শ্ব গ্রাবরেখা।

 মধ্য গ্রাবরেখাঃ দুটি হিমবাহ পাশাপাশি প্রবাহিত হলে মিলন অঞ্চলে সঞ্চিত হয়ে তৈরি হয় মধ্য গ্রাবরেখা ।

 প্রান্ত গ্রাবরেখাঃ হিমবাহ যেখানে এসে শেষ হয় অর্থাৎ গলে যায় সেখানে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট হয় প্রান্ত গ্রাবরেখা ।

 ভূমি গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের তলদেশে পদার্থ সঞ্চিত হয়ে সৃষ্ট গ্রাবরেখা হল ভূমি গ্রাবরেখা ।

 অবিন্যস্ত গ্রাবরেখাঃ হিমবাহের অগ্রভাগে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত গ্রাবরেখা হল অবিন্যস্ত গ্রাবরেখা ।

 বলয়ধর্মী গ্রাবরেখাঃ বলয় আকারে সঞ্চিত গ্রাবরেখা হল বলয়ধর্মী গ্রাবরেখা ।

 স্তরায়িত গ্রাবরেখাঃ সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত গ্রাবরেখাকে স্তরায়িত গ্রাবরেখা বলে ।



মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

দশম শ্রেনী HISTORY/ ইতিহাস নতুন জুলাই মাসের পার্ট -৪


CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK HISTORY NEW PART 4 JULY -2021(NEW)


1. ‘ক’ - স্তম্ভের সাথে ‘খ’ - স্তম্ভ মেলাও

‘ক’ -

‘খ’ - স্তম্ভ

ক) নিম্নবর্গের ইতিহাস

(i) সরলাদেবী চৌধুরানি

খ) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

(ii) ডিরোজিও

গ) অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন

(iii) রনজিৎ গুহ

উউত্তর

‘ক’ -

‘খ’ - স্তম্ভ

ক) নিম্নবর্গের ইতিহাস

(iii) রনজিৎ গুহ

খ) লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

(i) সরলাদেবী চৌধুরানি

গ) অ্যাকাডেমিক অ্যাসোসিয়েশন

(ii) ডিরোজিও

2. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করো

(ক) সংবাদ প্রভাকর পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

মিথ্যা

(খ) “সর্বধর্ম সমন্বয়’-এর আদর্শ প্রচার করেছিলেন রামকৃষ্ণু পরমহংসদেব।

সত্য

(গ) সুই মুন্ডা ছিলেন কোল বিদ্রোহের নেতা।

সত্য

3. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

(ক) ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ।

ভূমিকা: কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ইন্টারনেট বলা হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। তাই বর্তমান যুগকে তথ্য-বিস্ফোরণের যুগ’ বলা হয়। ইন্টারনেটের সাহায্যে ইতিহাসের অনেক তথ্য পাওয়া যায় তবে ইতিহাসের তথ্যসংগ্রহে ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন সুবিধা আছে তেমনি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে।

দুটিসুবিধাঃ-

i) তথ্যের সহজলভ্যতা : ইন্টারনেটের সাহায্যে ঘরে বসে দেশ-দুনিয়ার অসংখ্য তথ্য নিমেষের মধ্যে জানা যায়। ইন্টারনেট থেকে সহজে বহু তথ্যসংগ্রহ করে ইতিহাস রচনা করা যায়।

ii) সময় সাশ্রয় :বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বই বা অন্য উৎস থেকে তথ্যসংগ্রহ করা প্রচুর সময়সাপেক্ষ। কিন্তু ইন্টারনেটের সাহায্যে অল্প সময়ে প্রচুর তথ্যসংগ্রহ করা যায়।

(খ) ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয়?

(খ) ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয়?

ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে যে কয়েকজন ইউরোপীয়-এর কাছে ভারতবাসীকে চিরকৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ থাকতে হয় তাদের মধ্যে মানবতাবাদী, ভারত প্রেমিক স্কটল্যান্ড নিবাসী ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার অন্যতম।তিনিই প্রথম কলকাতায় একটি আধুনিক ইংরেজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের কথা চিন্তা করেন।এরই ফলশ্রুতিতে 1817 খ্রিস্টাব্দের 20 জানুয়ারি স্থাপিত হয় হিন্দু কলেজ। বর্তমানে এটি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। এছাড়াও ডেভিড হেয়ার স্কুল বুক সোসাইটি ,ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি এবং হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। নারী শিক্ষার প্রসারে তিনি যথেষ্ট উৎসাহী ছিলেন। তাঁরই আন্তরিক প্রচেষ্টায় কলকাতায় কয়েকটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারের মাধ্যমে আধুনিক ভারত গড়ার জন্য তাঁর অবদান অপরিসীম। তাই সাধারণ মানুষের কাছে ইংরেজি শিক্ষার জনক’ রূপে ডেভিড হেয়ার স্মরণীয়।

(গ) বারাসাত বিদ্রোহ’ কী ?

বারাসাত বিদ্রোহঃ- জমিদার, নীলকর ও কোম্পানির কর্মচারিদের শাসন, শোষণ, অত্যাচার ও বাড়তি করের বিরুদ্ধে তিতুমির বিদ্রোহী হন। চব্বিশ পরগণা জেলার বারাসাতের নারকেলবেড়িয়া গ্রামে তিনি একটি বাঁশেরকেল্লা বা দুর্গ নির্মাণ করে এর বিরুদ্ধে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেন। ইংরেজদের গোলায় তার বাঁশের কেল্লা ধ্বংস হয়। 1831 খ্রিস্টাব্দের 19 নভেম্বর যুদ্ধে তিনি নিহত হন। ইতিহাসে এটি বারাসাত বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

4. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :

প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করো।

ভূমিকাঃ- ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতবাসীর শিক্ষার উন্নতিকল্পে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বার্ষিক ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ের নির্দেশ দান করেন। কিন্তু এই টাকা কীভাবে ব্যয় করা হবে তার সুনির্দিষ্ট নির্দেশ ছিল না। তাই এক গোষ্ঠী প্রাচ্য শিক্ষার জন্য এবং অপর গোষ্ঠী পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য দাবি তোলেন। প্রামা শিক্ষার সমর্থকরা প্রাচ্যবাদী বা ওরিয়েন্টালিস্ট এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার সমর্থকরা পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে পরিচিত। ইতিহাসে এটি ‘প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্ব’ নামে পরিচিত।

জনশিক্ষা কমিটিঃ- সমস্যার সমাধানের জন্য ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে গড়ে ওঠে জনশিক্ষা কমিটি বা কমিটি অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন।এই কমিটির সদস্যরা ঐক্যমতে উপনীত হতে ব্যর্থ হন। এর সদস্যবৃন্দের একটি গোষ্ঠী প্রাচ্য শিক্ষা, অপর গোষ্ঠী পাশ্চাত্য | শিক্ষার জন্য অভিমত পোষণ। করেন।

প্রাচ্যবাদী ওরিয়েন্টালিস্টঃ- প্রাচ্যবাদীরা ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। তাঁরা রাজা রামমোহন রায় মনে করতেন, প্রাচ্য শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। এর মধ্যেই দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি জড়িয়ে রয়েছে। তাই প্রাচ্য শিক্ষার জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ হওয়া উচিত। কোলব্রুক, উইলসন, এইচ. টি. প্রিন্সেপ প্রমুখ ছিলেন এর সমর্থক। |

পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্টঃ- অপরদিকে চার্লস গ্রান্ট, টমাস ব্যাবিংটন মেকলে, ট্রাভেলিয়ন, আলেকজান্ডার ডাফ, সন্ডার্স, কলভিন প্রমুখ মনে করতেন ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য চর্চার দ্বারা ভারতের প্রকৃত মঙ্গল সম্ভব। এঁরা পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্ট নামে পরিচিত।

রামমোহনের উদ্যোগঃ- ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা রামমোহন বায় বড়োলাট লর্ড আমহার্স্টকে এক স্মারকলিপিতে প্রাচ্য শিক্ষার বদলে পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য সরকারি অর্থব্যয়ের জোরালো আবেদন জানান।

মেকলে মিনিটঃ- ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি জনশিক্ষা মিটির সভাপতি স্যার টমাস ব্যাবিংটন মেকলে গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে এক স্মারকলিপি পেশ করেন। এটি মেকলে মিনিট’ নামে পরিচিত। এতে পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য সরকারি অর্থব্যয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সরকারি শিক্ষানীতিঃ- প্রাচ্যবাদীদের বি্রোধিতা সত্ত্বেও বেন্টিঙ্ক ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ এক নির্দেশিকায় পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য সরকারি অর্থব্যয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এর ফলে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য । দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।

উপসংহারঃ- ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাপদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে ইউরোপের উদার নীতিবাদ, নবজাগরণ, ফরাসী বিপ্লব ও সেখানকার মনিষীদের রচনা পড়ে শিক্ষিত ভারতীয়রা জাতীয় চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে।



PHYSICAL SCIENCE // ভৌত বিজ্ঞান

নতুন জুলাই মাসের পার্ট -৪


CLASS 10 MODEL ACTIVITY TASK PHYSICAL SCIENCE NEW PART 4 JULY -2021(NEW)


1. ঠিক উত্তর নির্বাচন করো :

1.1 যেটি জীবাশ্ম জ্বালানী নয় সেটি হলো -

(ক) বায়োগ্যাস (খ) পেট্রোল (গ) ডিজেল (ঘ) কয়লা

উ:-(ক) বায়োগ্যাস

1.2 কোনো উত্তল লেন্সের ফোকাসের মধ্যে বস্তুকে রাখলে গঠিত প্রতিবিম্ব হবে -

(ক) সদ্ ও অবশীর্ষ (খ) অসদ্ ও অবশীর্ষ (গ) সদ্ ও সমশীর্ষ (ঘ) অসদ্ ও সমশীর্ষ

উ:- (ক) সদ্ ও অবশীর্ষ

1.3 যে যৌগটি আয়নীয় নয় তা হলো -

(ক) KH (খ) NaCl (গ) CaCl₂ (ঘ) CH₄

উ:- (ঘ) CH₄

2. একটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও :

2.1 গ্যাস ধ্রুবকের (R) SI এককটি উল্লেখ করো |

উ:- জুল • মোল ⁻¹ • কেলভিন ⁻¹ (J⋅mol−1⋅K-1J⋅mol−1⋅K-1)

2.2 পর্যায় সারণিতে প্রত্যেক পর্যায়ের কোন মৌলটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধের মান সর্বাধিক হয়?

উ:- প্রত্যেক পর্যায়ের প্রথম মৌলটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সর্বাধিক হয় | (ব্যতিক্রম : নিস্ক্রিয় গ্যাস মৌল)

2.3 এমন একটি আয়নীয় যৌগের সংকেত লেখো যার ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দুটিরই ইলেকট্রন বিন্যাস হিলিয়াম পরমাণুর মত ।

উ:- LiH ( লিথিয়াম হাইড্রাইড )

LiH এর ক্যাটায়ন = Li⁺, যার ইলেক্ট্রন বিন্যাস হিলিয়ামের মতো অর্থাৎ 2

LiH এর অ্যানায়ন = H⁻, যার ইলেক্ট্রন বিন্যাস হিলিয়ামের মতো অর্থাৎ 2

3. দুটি অথবা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও :

3.1 পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে যে আয়না থাকে তা সমতল না করে উত্তল রাখা হয় কেন ব্যাখ্যা করো ।

উ:-পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পন ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যাকে আমরা Rear View Mirror বলে থাকি সাধারণত |

উত্তল দর্পণ দ্বারা সর্বদা কোনো বস্তুর অসদ্, সমশীর্ষ এবং ছোটো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় | এই প্রতিবিম্ব দর্পণের মেরু এবং ফোকাসের মধ্যে গঠিত হয় | তাই সমান আকারের সমতল দর্পণের তুলনায় উত্তল দর্পণে অনেক বেশি বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা সম্ভব হয় | ফলে দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র অনেক বেশি হয় | তাই চালকের পক্ষে তার পাশের আয়নায় বেশি সংখ্যক যানবাহন দেখা সম্ভব হয় |

এই কারণেই পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে যে আয়না থাকে তা সমতল না করে উত্তল রাখা হয় |

3.2 কোনো মৌলের আয়নীভবন শক্তি বলতে কী বোঝায় ?

উ:-ভুমিস্তরে বা সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে স্থিত কোনো মৌলের একটি বিচ্ছিন্ন, গ্যাসীয় পরমাণু থেকে তার যোজ্যতা কক্ষের সবচেয়ে দুর্বলভাবে আবদ্ধ ইলেকট্রনটিকে সম্পূর্ণরূপে অপসারিত করে পরমাণুটিকে গতিশক্তিহীন এক একক ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট আয়নে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম শক্তিকে ওই মৌলের আয়নীভবন শক্তি বলে |

4.

 
 
 

Recent Posts

See All
মাধ্যমিকের পর সাইন্স, আর্টস না কমার্স, কোনটা নিয়ে পড়বে জেনে নাও সহজে

মাধ্যমিকের পর সাইন্স, আর্টস না কমার্স, কোনটা নিয়ে পড়বে জেনে নাও সহজে বাড়িতে বলছে সাইন্স নিয়ে পড়তে, আর তুমি চাইছ আর্টস নিয়ে পড়তে। আবার...

 
 
 
Light (class 10 physics)

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : (মান - 1)...

 
 
 

Comments


Post: Blog2_Post

Subscribe Form

Thanks for submitting!

©2021 by MILU COACHING CENTRE. Proudly created with Wix.com

bottom of page